চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেল দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট। নারীসহ ১৫৮ গলফার অংশ নিয়েছেন এই টুর্নামেন্টে। গতকাল শুক্রবার সকালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) মো. আশফাকুল ইসলাম. ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও মেজর (অব.) মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এই ধারাবাহিকতা অত্যন্ত আনন্দের।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা আশা করছি, কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’ আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কেএসআরএমের বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) মো. আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার কেএসআরএম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর। আমরা সব সময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। ভবিষ্যতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপমহাব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নুরুল মোমেন, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।