মোটরসাইকেলে প্রাইভেট কারের ধাক্কা, খাদ্য বিভাগের ২ কর্মকর্তা নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম (৫৮) ও উপসহকারী খাদ্য পরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান (৩৫) নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর মহাসড়কে উপজেলার কুলপালা সেন্টারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনেরই বাড়ি মেহেরপুর শহরে। কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় নিহত ব্যক্তিদের লাশ ঘটনাস্থলে রাখা ছিল।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার হাঁপানিয়া ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নিহত ব্যক্তিদের সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ কে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, দাপ্তরিক কাজ শেষ করে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান একটি মোটরসাইকেলে করে মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের সেন্টারপাড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুজনই নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী কুলপালা গ্রামের আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্য কর্মকর্তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি কুলপালা সেন্টারপাড়া এলাকায় পৌঁছানোর পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর তাঁরা মোটরসাইকেল ঠেলে কুলপালা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেহেরপুরের দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার (মেহেরপুর ঘ ১১-০০২১) মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে প্রথমে সাইদুর রহমান ও কিছুক্ষণ পর নজরুল ইসলাম মারা যান। তিনি বলেন, প্রাইভেট কারটি দ্রুতগতির ছিল, পেছনের বাঁ পাশের একটি চাকা ফেটে যায়। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারের চালক ও আরোহী ব্যক্তিরা দ্রুত আত্মগোপন করেন।