‘বুঙ্গার’ চিনিতে সয়লাব সিলেট, ১৪ ঘণ্টায় ৭ টন চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ২

চিনি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অবৈধ উপায়ে দেশে ঢুকছে ভারতীয় চিনি। সিলেটে এটিকে ‘বুঙ্গার’ চিনি বলা হয়। ইতিমধ্যে ‘বুঙ্গার’ চিনিতে সয়লাব সিলেট। চিনি চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টার মধ্যে পৃথক দুটি অভিযানে সাত টনের বেশি ‘বুঙ্গার’ চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি চিনি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে চিনি চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি ট্রাক।

পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার গোলাপগঞ্জে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় গোলাপগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের সামনে একটি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি করলে ৫০ কেজি ওজনের ১৮৬ বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। এ সময় চিনি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মুজাফফরপুর গ্রামের মো. সবুর আলী শেখ (৩৫) ও একই এলাকার মো. কাউসার আলী শেখ (২৫)। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

এদিকে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলংয়ের পান্তুমাই এলাকার বরকত উল্লা নামের এক ব্যক্তির বাড়ির উঠানে বিক্রির জন্য মজুত করা ৫০ কেজি ওজনের ১৪২ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছয়জন পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া ছয়জনের নাম উল্লেখ একটি মামলা করা হয়েছে।

সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট) মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে চোরাচালানের মাধ্যমে প্রবেশ করা মালামাল ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সাত টনের বেশি চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।