নোয়াখালীর বেশির ভাগ এলাকা এখনো বিদ্যুৎহীন

বিদ্যুৎ সরবরাহ
প্রতীকী ছবি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্ত ৬০ ভাগ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ চালু হয়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেরও (পিডিবি) ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ লাইন এখন সচল করা যায়নি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সদর উপজেলার ১৯ নম্বর চর মটুয়া ইউনিয়নের উদয় সাধুরহাট এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত রোববার রাত থেকে তাঁদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কবে বিদ্যুৎ আসবে, তা–ও কেউ বলতে পারছেন না। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রেফ্রিজারেটরের মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ। সবাই চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।

সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে তাঁদের এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। এ অবস্থায় তাঁরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ৯টি উপজেলায় ১৮৮টি খুঁটি ভেঙে গেছে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাকির হোসেন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ে সমিতির আওতাধীন ৯টি উপজেলায় ১৮৮টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লাইনের বহু তার ছিঁড়ে গেছে। এই দুর্যোগে সমিতির ১৬ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

জাকির হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা একযোগে ৯টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার শুরু করেন। এতে সন্ধ্যা নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ শতাংশ লাইন চালু করা গেছে। এ ছাড়া বাকি ৬০ শতাংশ লাইনে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে জিএম বলেন, তাঁরা আশা করছেন আজ রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সব লাইন সচল করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে পিডিবির নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং মোড়, চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ স্কুল (ম্যাটস), সার্কিট হাউসসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫০টি খুঁটি ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে অনেক বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নুরুল আমিন জানান, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পিডিবির কর্মীরা শহরের ভেতরের লাইনগুলোর বেশির ভাগই চালু করতে পেরেছেন। এরপরও এখনো ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের ৩০ শতাংশ চালু করা যায়নি। এসব লাইন আজ বিকেলের মধ্যে চালু করার চেষ্টা চলছে।