বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর বরিশাল বিভাগে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৫। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনায়—ছয়জন। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে ১৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন করে বিভাগে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া দুজন হলেন বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা গ্রামের বাসিন্দা সনিয়া (১৮) ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল মোল্লা (৩৫)। তাঁরা দুজনই রোববার দিবাগত রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, চলতি বছর এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় সবচেয়ে বেশি ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বরগুনায় সরকারি হিসাবের বাইরেও আরও ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগজুড়ে নতুন করে ১৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন। এ ছাড়া পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন এবং জেলার উপজেলা পর্যায়ে আরও ৭ জন। ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ জন, পিরোজপুরে ১৭, বরগুনায় ৬৩ ও ঝালকাঠিতে ২ জন।
বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি বলেন, বিভাগের অন্য জেলায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বরগুনায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে। কোনোভাবেই সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মশাবাহিত এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে হলে অবশ্যই ঘরবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত সতর্কতা ও সামাজিক সচেতনতা জরুরি।