বুড়িচং আ.লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ওরফে জাহেরকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন গত বছর পীরযাত্রাপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চতুর্থ হন। তার আগে ২০১৬ সালে তিনি ওই ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন। নথি জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া দরপত্রের কার্যাদেশের বিপরীতে এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
দরপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাপ্ত কার্যাদেশের বিপরীতে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক জানান, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পোর্ট কানেকটিং রোডের দরপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাপ্ত কার্যাদেশের বিপরীতে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী কাজ শেষ না করে রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের তথ্য পাওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের ১০ মে মাসে জাকির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক দুটি মামলা করে। মামলা দুটির তদন্তকালে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে কুমিল্লা শহরের নিজ বাসা থেকে আজ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
দুদক জানায়, গ্রেপ্তার জাকির হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের কার্যাদেশ পান। এর বিপরীতে ইউসিবিএল ব্যাংকের কুমিল্লা শাখা থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু কাজের বিপরীতে প্রাপ্ত বিলের চেক নগদায়ন করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের কাজটি অসমাপ্ত রেখে চলে যাওয়ায় জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পরে আবার দরপত্র দিয়ে কাজটি সমাপ্ত করতে গিয়ে অতিরিক্ত সাত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতি হয়।