সরু সড়কে যানজট, ভোগান্তি 

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কের প্রস্থ কম হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষ ভোগান্তি পোহান।

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়ক সরু। এ কারণে এখানে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডের সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি মোড় থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম। প্রায় ২৫ বছর আগে নির্মিত মেডিকেল কলেজের সামনের এ সড়কের প্রস্থ মাত্র ১০ ফুট। এই সড়কের দুই পাশ দখল করে বসানো হয়েছে দোকানপাট। এতে এখানে প্রায়ই তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সড়ক এতটাই সরু যে দুটি রিকশা পাশাপাশি চলতে সমস্যা হয়। এ সড়কে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বা ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ঢুকলেই লেগে যায় তীব্র যানজট। সেই জট কখনো কখনো পুরো সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। তখন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে খুব হিমশিম খেতে হয়। এর মধ্যে আবার হাসপাতালের সীমানাপ্রাচীর লাগোয়া সামনের সড়কের দুই ধারে বসেছে স্থায়ী-অস্থায়ী অসংখ্য দোকানপাট। এতে হাসপাতালের সামনে দিনব্যাপী লেগে থাকে তীব্র যানজট। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন বছর আগে এ সরু সড়কের পাশে সদরের যশোদল এলাকায় পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ। জেলা শহরের সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি মোড় থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়া হাওরাঞ্চলের সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা নিকলী সদর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থাও খারাপ।

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের সামনের সড়কটি সরু হওয়ায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। সব সময় যানজট লেগেই থাকে। এর মধ্যে হাসপাতালের সামনে দোকানপাট বসে সড়ক আরও সরু করে ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত ১১ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সব দোকানপাট উঠিয়ে দিলেও পরে এসে আবার বসে পড়ছে। কারা বসান, এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না।’ 

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি মোড় থেকে নিকলী পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্ত। তবে এই সড়কের প্রস্থ বাড়িয়ে ২৮ ফুট করাসহ সংস্কারের জন্য প্রায় তিন মাস আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।  প্রস্তাব পাশ হয়ে এলে সড়কটি পুনর্নির্মাণে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।