দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের নামে মামলা

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির জেরে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল থেকে ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথের ৩ নম্বর আমলি আদালতে রাজীব আহমদ (২৩) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী এই মামলার আবেদন করেন। রাজীব বিশ্বনাথ উপজেলার হরিকলস গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি পার্থ সারথি দাশের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে একটি পক্ষ। অন্যদিকে কমিটি বিলুপ্তির প্রতিবাদ জানাতে বিলুপ্ত কমিটির নেতা পার্থ সারথি দাশের নেতৃত্বে পাল্টা মিছিল বের হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পার্থ সারথি দাশসহ দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, আবদুল আজিজ, রাজু আহমদ খান, সিরাজুল ইসলাম, শামীম আহমদ, আবদুর রহমান, জাকির হোসেন, রিপন মিয়া, মুহিবুর রহমান, আছলাম মিয়া, জহির আলী, কামরান আহমদ ও শুভ চন্দ।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। অভিযোগে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজু ভৌমিক বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

বিশ্বনাথ থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা ও মামলার কাগজপত্র পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, এমন ঘটনা সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবহিত নন। মামলার বিষয়টিও তিনি জানেন না। তবে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সম্প্রতি সেটি বিলুপ্তি করা হয়েছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চাঙা হয়েছেন। এলাকায় মিষ্টি বিতরণের ঘটনাও ঘটেছে। শিগগিরই সেখানে কর্মিসভার মাধ্যমে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে নেতা-কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হবে।