চাঁদপুরে বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে লেক পার হচ্ছিল কিশোর, পানিতে ডুবে মৃত্যু

আল আমিনছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুর শহরের লেক থেকে আল আমিন ওরফে তুহিন (১৭) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত আল আমিন চাঁদপুর শহরের মমিনপাড়ার রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। এ বছর সে চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে।

পরিবারের অভিযোগ, আল আমিনের মরদেহের চোখের পাশে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে। কিশোর গ্যাং তাকে হত্যা করে লেকের ভেতর ফেলে দিয়েছে। তবে ওই ঘটনায় আটক কিশোরদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে ৫০০ টাকা বাজি ধরে সাঁতরে লেক পার হচ্ছিল আল আমিন। এ সময় সে পানিতে ডুবে যায়। তখন তারা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার চোখে ও হাতে আঘাতের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি পুলিশ কেস হিসেবে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য দিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।’

আল আমিনের মামা রাজু মাঝি বলেন, গতকাল দুপুরে আল আমিন তার বাবার সঙ্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হওয়ার পর রাতে তার পরিবার খবর পায় এই মর্মান্তিক ঘটনার। খবর পেয়ে হাসপাতালে তার মরদেহ দেখতে পান।

আল আমিনের নানা চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল মাঝি বলেন, ‘এটি একটি হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। কারণ, তার চোখে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহার মিয়া বলেন, আল আমিনের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় সাতজন কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বাজি ধরে আল আমিন সাঁতরে লেক পার হচ্ছিল। তখন সে ডুবে যায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার শরীরে আঘাত লাগে। আটক কিশোরদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।