‘সকালে উঠে দেখি, ঘরের দরজার সামনে পানি’

পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। আজ সকালে শহরের নিচের বাজার এলাকা থেকে তোলাছবি: প্রথম আলো

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের নিচু এলাকা। গতকাল শনিবার রাতের ভারী বর্ষণে জেলা শহরের নিচের বাজার, গরু বাজার, মেহেদীবাগ, উত্তর গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়াপাড়াসহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা পানিতে ডুবে যায়। আকস্মিক জলাবদ্ধতায় চলাচলের রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পানিবন্দী রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। আজ রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও চেঙ্গী নদীর পানি কমেনি। শহরের বিভিন্ন খালে পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

খাগড়াছড়ি শহরের মেহেদীবাগ এলাকার বাসিন্দা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘রাতে হঠাৎ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বৃষ্টির তেমন কোনো লক্ষণ ছিল না। সে কারণে আমাদের কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। সকালে দেখি ঘরের দরজার সামনে পানি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।’

দীঘিনালা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের বেলুন মেকার সুবোধী চাকমা বলেন, শনিবার রাতে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ বর্ষণে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘আমরা বন্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিচ্ছি। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের মাঝে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি বন্যার পানি দ্রুত কমে যাবে।’

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়ামাত্রই আমরা আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। বন্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা আশ্রয়কেন্দ্রে এলে তাঁদের জন্য পানি, খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো দুর্যোগে জেলা প্রশাসন সব সময় সবার পাশে রয়েছে।’