চুরির অভিযোগে যুবককে বেঁধে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ১

লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় চুরির অভিযোগে মঞ্জুর হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের পুরাতন ট্রাকস্ট্যান্ডে পেটানোর এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় মঞ্জুর হোসেন বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল সন্ধ্যায় মোকছেদুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মঞ্জুর হোসেন উপজেলার পাটগ্রাম পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেলস্টেশনপাড়ার বাসিন্দা মৃত সামছুর হকের ছেলে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পাঁচ মিনিট দুই সেকেন্ডের ভিডিতে দেখা যায়, মঞ্জুর হোসেনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন দুই-তিনজন যুবক। কয়েকজন পাশে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাকস্ট্যান্ডের একটি ট্রাকে উঠে চালকের ম্যানিব্যাগ ও মুঠোফোন নেওয়ার অভিযোগে মঞ্জুরকে আটক করেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা মঞ্জুরকে ট্রাকে থাকা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এরপর কয়েক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। কেউ একজন এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়।

মঞ্জুর হোসেনের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুড়িমারী ইউনিয়নের পুরাতন ট্রাকস্ট্যান্ডে একটি ওয়ার্কশপের সামনে তাঁকে দেখে চোর বলে চিৎকার করেন মোকছেদুল ইসলাম, রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন। এ সময় তাঁকে আটকে মাটিতে ফেলে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। এরপর বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তাঁর গলা টিপে ধরা হয়।

চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেন মঞ্জুর হোসেন। তাঁর দাবি, ‘আমি চুরি করিনি। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মঞ্জুর হোসেনের করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে মঞ্জুরের নামে মারধর ও চুরির অভিযোগে থানায় আগের দুটি মামলা আছে।