যশোরে আলোচিত ইয়াসিন হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল

আদালত
প্রতীকী ছবি

যশোর শহরে আলোচিত ইয়াসিন আরাফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম ১০ জনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শংকরপুর রেললাইনসংলগ্ন ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন ইয়াসিন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শাহানা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার তোরাব আলীর তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে স্বর্ণকার রানা, রুবেল হোসেন ও হাফিজুর রহমান, একই এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে আবদুল কাদের, আকবরের মোড় এলাকার আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, সৈয়দ আহমেদের ছেলে শফিক ও ময়না, বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার খবির আলী শিকদারের ছেলে জীবন শিকদার, শংকরপুর মাঠপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে সুমন এবং বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে নজরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং চারজন পলাতক আছেন।

ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলামের দাবি, শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসা থেকে নিজের হিস্যা আদায়সহ নানা দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন আলোচিত ইয়াসিন আরাফাত।

এসআই মফিজুল ইসলাম আরও বলেন, কয়েক বছর আগে ইয়াসিনের লোকজনের হামলায় স্বর্ণকার রানা আহত হয়েছিলেন। এ জন্য রানা ইয়াসিনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রানার লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতে পলাতক নজরুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা।

ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপম কুমার সরকার বলেন, ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন অভিযুক্ত সুমন। সুমনসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।