গোপালগঞ্জে মা ও তাঁর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

আহাজারি করছেন দুই স্বজন। রোববার রাতে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মা ও তাঁর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত দুজনের স্বজন এই অভিযোগ করেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন—গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের টুকু মীনার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৫) ও তাঁদের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে লামিয়া (১৫)। নিহত লামিয়া এ বছর খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত হারুণ মীনাকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ। আটক হারুণ মীনা একই গ্রামের টুকু মীনার বড় ভাই।

নিহত বিউটির স্বামী টুকু মীনার দাবি, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর মেয়ে লামিয়া বাড়ির উঠানে বসে মুঠোফোনে কথা বলছিল। এ সময় লামিয়াকে সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন তাঁর বড় ভাই হারুণ মীনা। এ নিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে হারুণ মীনার কথা-কাটাকটি হয়। একপর্যায়ে হারুণ মীনা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র (কাতরা) দিয়ে কোপান। এতে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে মারা যান। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।

স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় বিউটিকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দুটি হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমাস আল রাজী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়েছেন। অভিযুক্ত হারুণ মীনাকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।