ঝিকরগাছায় চাপকলের ভেতরে বিষ প্রয়োগ, পানি পানে আতঙ্ক

যশোর জেলার মানচিত্র

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বোধখানা গ্রামের কয়েকটি চাপকল ও চায়ের দোকানের পানির ড্রামের ভেতরে গতকাল শনিবার ভোরে বিষ দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। বিষ প্রয়োগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গ্রামের মানুষ চাপকলের পানি ব্যবহার করা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে বোধখানা গ্রামের চায়ের দোকানদার সাইদ হোসেনের দোকানের দরজার তালা ভেঙে চুরি করে অজ্ঞাত চোরের দল। এ সময় ওই দোকানের বোতলে রাখা কীটনাশক নিয়ে বোধখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বোধখানা বাজার ও কয়েকটি বাসাবাড়ির চাপকলসহ এলাকার কয়েকটি চায়ের দোকানের চা তৈরির কেটলি, হাঁড়ি, হোটেলের পানির পাত্রের (ড্রাম) ভেতরে এই কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে চোরেরা। এরপর কীটনাশক বিষে বিষাক্ত হয়ে যায় ওইসব চাপকল, চায়ের দোকান ও হোটেলে সংরক্ষিত পানি। পরে সকালে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ওইসব চাপকলে লাল কাপড় বেঁধে সবাইকে সতর্ক করেন।

চায়ের দোকানদার সাইদ হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে একটা বিষের বোতলে কীটনাশক বিষ রাখা ছিল। চোরেরা আমার দোকানে চুরি করে আমার দোকান থেকে বিষের বোতল নিয়ে গ্রামের টিউবওয়েল, বাসাবাড়ির হাঁড়ি, চায়ের দোকানসহ যেখানে সেখানে বিষ প্রয়োগ করে রেখে যায়। পানিতে বিষের গন্ধ পাওয়ায় আমরা পানি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।’

ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সাবানা বেগম নামে এক ব্যক্তি ভোর রাতে সেহরি খেয়ে পানি পানের জন্য চাপকল থেকে পানি সংগ্রহ করেন। ওই পানিতে বিষাক্ত গন্ধ তাঁর নাকে যায়। পরে আশপাশের মানুষ তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখেন, চাপকল থেকে বিষের গন্ধযুক্ত পানি বের হচ্ছে। এরপর বিষয়টি পুরো গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে পানি পানে সতর্ক করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম আলী বলেন, ‘গ্রামের তিন থেকে চারটি চাপকলের ভেতরে কে বা কারা বিষ দিয়ে রেখে যায়। ওই চাপকলের পানি দু–একজন পান করলেও কেউ হতাহত হননি। আমরা সরেজমিন গিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে যে বা যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’