বিজ্ঞান-গণিতের সঙ্গে মানবিকতাকে স্থান দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাব আয়োজিত গণিত অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মাধ্যমে শিল্পবিপ্লবের যে সময় আমরা পার করছি, এটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে হলে মানবিকতাকে স্থান দিতে হবে। বিজ্ঞানের সঙ্গে নান্দনিকতা ও কলার সংযোগ ঘটলে একবিংশ শতাব্দীর বিপ্লবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। কারণ, আমাদের যদি সংবেদনশীলতা না থাকে, সৌন্দর্যবোধ না থাকে, নান্দনিকতাবোধ যদি আমাদের মধ্যে তৈরি না হয়, তাহলে মূল লক্ষ্য অর্জন হয় না।’

শনিবার দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ক্লাবের আয়োজনে গণিত অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে আনন্দের মাধ্যমে। যদি কোনো বিষয় আনন্দ নিয়ে শেখা যায়, তাহলে তার চারপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আনন্দের সঙ্গে শিখলে নতুন দক্ষতা গড়ে উঠবে। শিক্ষকের মূল যে দায়িত্ব, তা হলো শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু করে তোলা। শিক্ষার্থীদের ভেতর জ্ঞানের পিপাসা জাগিয়ে তোলা। তিনি আরও বলেন, ‘ক্লাস পরীক্ষার চাপে শিক্ষার্থীদের শেখার অনেক জায়গা হারিয়ে গেছে। আমরা সেই জায়গাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাদের শেখাটা যেন হয় সক্রিয় শিখন।’

অনুষ্ঠানে ৭ ক্যাটাগরি থেকে ৩৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

গণিতবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, গণিত অলিম্পিয়াড কোনো প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি উৎসব। গণিত চর্চার মাধ্যমেই দেশের বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন সম্ভব। খুদে গণিতবিদদের বড় হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

এবারের অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সাতটি ক্যাটাগরি ছিল। এতে দেশের ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৪ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রথম পাঁচজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে হিসাবে ৭ ক্যাটাগরি থেকে ৩৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলম, সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অজিত কুমার মজুমদার, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক এ এ মামুন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবির প্রমুখ।