রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানের পদত্যাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি তিনি নিজেই প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাত ৯টার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ২০২১ সালের ১৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদের আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, উপ-উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদকাল হবে চার বছর। তাঁর নিয়োগ কার্যকর হবে ১৭ জুলাই থেকে। ওই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ছাড়া সুলতান-উল-ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক ছিলেন। বিদায়ী উপাচার্য আবদুস সোবহানসহ তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিষয়ে বেশ তৎপর ছিলেন তিনি।
এর আগে গতকাল দুপুরে উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ বর্তমান প্রশাসনের ৩০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বর্তমান প্রশাসনের মোট ৩১ জন ব্যক্তি পদত্যাগ করলেন।