কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে ভার্চ্যুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ সোমবার থেকে অনলাইনে ভার্চ্যুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে এ কার্যক্রম শুরু করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন।

টেকনাফের একটি হত্যা মামলার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাদুজ্জামানের (বর্তমানে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালতের এই কার্যক্রম শুরু হয়।

আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আববাস উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসংক্রান্ত ১১ নম্বর আইনের বিধানমতে ভার্চ্যুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মধ্যম রাজারছড়ার বাসিন্দা মো. রুবেলের স্ত্রী ও একই এলাকার বদিউল আলমের মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রোকেয়ার বড় ভাই মো. আয়াছ বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মো. রুবেলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মো. রুবেল ঘটনার পরদিন দোষ স্বীকার করে কক্সবাজারের তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাদুজ্জামানের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রোববার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার আসামি মো. রুবেলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক নিশাদুজ্জামান বর্তমানে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নিশাদুজ্জামান সুনামগঞ্জে তাঁর খাসকামরা থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কার্যক্রম চলাকালে অনলাইনে (ভার্চ্যুয়াল) সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ সময় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন কক্সবাজার আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) দীলিপ কুমার ধর। আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন তাঁর সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম আরা স্বপ্না ও নুরুস সোলতান বিচারক নিশাদুজ্জামানকে জেরা করেন।

আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আববাস উদ্দিন বলেন, ভার্চ্যুয়াল এই সাক্ষ্য প্রদানের ঘটনা কক্সবাজার জেলা আদালতে প্রথমবার হলো। এর মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা আদালত সাক্ষ্য গ্রহণে ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রবেশ করলেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক বলেন, অনলাইনে সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম আদালতের বিচার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে।