মোংলায় সারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি, ৯ কর্মচারী জী‌বিত উদ্ধার

সারবোঝাই ওই জাহাজে থাকা নয় কর্মচারীর সবাইকে‌ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে‌ছে কোস্টগার্ড প‌শ্চিম জোন
ছবি: প্রথম আলো

মোংলা বন্দরের বহির্নোঙ্গর এলাকায় সারবোঝাই এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেস-২ নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মোংলা বন্দ‌রের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, সারবোঝাই ওই জাহাজে নয়জন কর্মচারী ছিলেন। সবাইকে‌ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে‌ছে কোস্টগার্ড প‌শ্চিম জোন।

মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ মে‌ট্রিক টন সার নিয়ে শাহাজালাল এক্স‌প্রেস-২ নামের লাইটার জাহাজ‌টি যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে রওনা দি‌য়ে‌ছি‌ল। জাহাজ‌টি হারবাড়িয়া-৮ এলাকায় পৌঁছালে ‘সুপ্রিম ভ্যালর’ নামের এক‌টি বিদেশি জাহাজকে অতিক্রম করে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ঘন কুয়াশায় লাইটার জাহাজটি বিদেশি ওই জাহাজকে ধাক্কা দেয়।

এতে লাইটার‌ জাহাজটির নি‌চের অংশ ক্ষ‌তিগ্রস্ত হলে ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে পড়ে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে ওই জাহাজে থাকা নয়জন কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ‌ দেন। খবর পে‌য়ে কোস্টগার্ড প‌শ্চিম জোনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ওই নয়জনকে উদ্ধার করেন।

ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, দুর্ঘটনার পর বন্দরের নৌ চলাচলের চ্যানেল স্বাভাবিক আছে। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের সার্ভে সনদ ও রেজিস্ট্রেশন সবই ঠিক আছে। ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল দুর্ঘটনার বিষয়‌টি তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে লাইটার জাহাজটির মালিকপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডু‌বে যাওয়া জাহাজ‌টি‌ উদ্ধারের জন্য মালিকপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।