নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘মাইন বিস্ফোরণে’ আহত ইউপি সদস্যের স্বামী

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় বিস্ফোরণে এক নারী ইউপি সদস্যের স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তি হলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৪৩)। তিনি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা দাবি করেছেন। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বা পুলিশের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও আজ রোববার তা জানা যায়। আহত মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ইউপি সদস্য লায়লা বেগম।

মুঠোফোনে লায়লা বেগম জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আশারতলী গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম বিকেলে গরু চরাতে সীমান্তের শূন্যরেখায় যান। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন তিনি। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে গ্রামের লোকজন গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে খুঁজে পান। দ্রুত উদ্ধার করে তাঁরা প্রথমে তাঁকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

লায়লা বেগম জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণে তাঁর স্বামী বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে মারাত্মক আহত হয়েছেন। পায়ের একাংশ ঝলসে গেছে এবং পায়ের ভেতরে মাইনের স্প্লিন্টার প্রবেশ করেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানিয়েছেন, সদর ইউনিয়নের আশারতলী, জারুলিয়াছড়ি, ফুলতলী সীমান্তের শূন্যরেখায় আগেও কয়েকবার মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এখন ওই এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) উপস্থিতি নেই। সীমান্তচৌকিগুলো বিদ্রোহী আরকান আর্মি দখল করেছে। ইউপি সদস্য লায়লা বেগমের স্বামী ইব্রাহিম শূন্যরেখায় গরু চরাতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেছেন, সীমান্তের শূন্যরেখায় মাইন বিস্ফোরণে কেউ আহত হওয়ার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তাই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।