ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যু

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত ও হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।  

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া মোট ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) তিনি টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একটি উপনির্বাচনসহ ছয়টি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সব কটিতে বিজয়ী হন। এর মধ্যে দুবার তিনি নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন চারবার। তিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন। তিনি পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।

গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারিতে এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়া) হয়ে তিনি ওই নির্বাচনে জয়ী হন।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ভাতিজা আক্তার হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ চত্বরে। পরে জেলা ও উপজেলা সদরে এবং গ্রামে জানাজা শেষে পরমানন্দপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।