প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

আদালত
প্রতীকী ছবি

প্রধামন্ত্রীকে হত্যার হুমকির মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ চাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার রাজশাহী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪–এর বিচারক মাহাবুব আলম এ আদেশ দেন। আজ থেকেই রিমান্ড কার্যকর হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী জালাল উদ্দিন বলেন, আবু সাঈদ বিএনপির সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। সেটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানেন। সারা বিশ্বে এই কথা ছড়িয়ে পড়েছে। এটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এ জন্য তাঁরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন।

রিমান্ড শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তিনি বলেন, আবু সাঈদের বক্তব্য বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত কি না, বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা হয়েছে কি না, তাদের চিন্তাচেতনা থেকে এসেছে কি না, এই বক্তব্যের পেছনে আরও কারা জড়িত আছে—এই বিষয়গুলোর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পুঠিয়া থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হলো। আজ থেকে সেই রিমান্ডের শুরু হবে। পুঠিয়া থানার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন আলী।

আবু সাঈদকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আদালতে নেওয়া হয়। বিকেল সোয়া চারটার দিকে শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তুলে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।

আজ দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়, বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরের ভেড়িপাড়া মোড় থেকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর পুলিশ (আরএমপি) যৌথভাবে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি প্রাইভেট কার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

সেখানে আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ায় পুঠিয়া থানায় প্রথম আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন বলেন, বিভিন্ন অপরাধে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ২০ থেকে ২৫টি মামলা ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরের থানাগুলোতে আরও ছয় থেকে সাতটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় কিছু মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আবদুল বাতেন জানান, আবু সাঈদ প্রাইভেট কারে চড়ে আত্মগোপনের জন্য কোথাও পালাচ্ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেলা ও মহানগর পুলিশ যৌথভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পুঠিয়া থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।

১৯ মে পুঠিয়ায় বিএনপির সমাবেশে আবু সাঈদ তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলে হত্যার হুমকি দেন।