ঝালকাঠিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতার বসতঘর ভাঙচুর
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান ওরফে মিলনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক ওরফে সাজুর বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
সাবেক ছাত্রদল নেতার স্বজনদের অভিযোগ, শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার আলী হায়দার মিয়ার কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি কেনেন তাঁরা। ওই জমিতে তাঁদের বসতঘর। জমিটি কিনতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান একাধিকবার এনামুল হকের কাছে প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁরা জমিটি বিক্রি করতে রাজি হননি। পরে বেশ কয়েকবার জমিটি দখলের চেষ্টা করেন সৈয়দ হাদিসুর রহমান। বিষয়টি টের পেয়ে ১৯ অক্টোবর আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আজ দুপুরে হাদিসুর লোকজন নিয়ে বসতঘরে হামলা করেন। এ সময় বসতঘরের অধিকাংশ জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ হাদিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ সঠিক নয়। তাঁর ক্রয় করা জমিতে সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুল হকের পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বেলা দেড়টার দিকে লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে ২০-২৫ জনের একদল যুবক এনামুল হকের বসতঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে। একটি সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলে। আধা ঘণ্টার তাণ্ডবে পুরো এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা হাসান মাহমুদ বলেন, হাদিসুর কয়েক দিন আগে তাঁর শাশুড়ির জমি দখল করেন। এর আগে এক মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করেছেন। এভাবে একের পর এক জমি দখল করে যাচ্ছেন। তবু তাঁকে কেউ কিছু বলছে না। এ ব্যাপারে ঝালকাঠির অভিভাবক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ছাত্রদল নেতা এনামুল হক বলেন, ‘আমরা ডাক্তারপট্টির বসতঘরে প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। আলী হায়দার মিয়ার কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখলে আছি। সৈয়দ হাদিসুর ওই জমি আমাদের কাছ থেকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা বিক্রি না করায় ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমাদের বসতঘরে ভাঙচুর করেছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। হামলা-ভাঙচুরের পর পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।