যুবকের লাশ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা পেটের ভেতর ইয়াবার পোটলা ফেটে মৃত্যু

মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে মাসুদ রানা ওরফে ইদ্রিস পাটোয়ারী (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে, পাচারের উদ্দেশ্যে স্কচটেপ মোড়ানো অতিরিক্ত ইয়াবার পোটলা গিলে খেয়েছিলেন তিনি। পেটের মধ্যে পোটলা ফেটে বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আসল রহস্য জানা যাবে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল্যার ডেবা এলাকার একটি বাড়ির রান্না ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজেশ বড়ুয়া। এ সময় লাশের মুখ রক্তাক্ত হয়েছিল। মাসুদ রানা রাজবাড়ীর আলীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর এলাকার বাসিন্দা।

যে বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার হয়েছে, সেটির মালিক শান্তি দেবী। তিনি জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আজিজকে তিনি এ ঘরটি ভাড়া দেন। মারা যাওয়া ওই যুবক মাঝেমধ‍্যে সেখানে আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া আজিজ পলাতক।

সাবরাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, ওই বাড়ির মালিক শান্তি দেবীর ছেলে সুমন ফোন করে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিক তিনি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে যুবকের লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, কলা–পাউরুটির মাধ্যমে গিলে খেয়ে পেটে করে ইয়াবা বড়ি পাচারের ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া লাশের পাশ থেকে কলা–পাউরুটিসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পেটে ইয়াবার প্যাকেট ফেটে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আসল রহস্য জানা যাবে।

ওসি আবদুল হালিম বলেন, এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলে সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন‍্য আপাতত থানায় আনা হয়েছে। মারা যাওয়া যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাঁরা রাজবাড়ী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।