রামগতিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আটজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বড়খেরি এলাকার রামগতি বাজারের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহশিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. ইসমাইল, নুরুল আমিন, মাহবুবুর রহমান, মো. হৃদয় হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মো. ফরহাদ, মো. আরিফ হোসেন। আহত অপরজনের নাম জানা যায়নি।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পদবঞ্চিত একটি পক্ষের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, চরগাজী ইউনিয়নের বানী ভবানী রায় কামেশ্বরী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিনের সমর্থকেরা। তাঁরা ফুল দিয়ে ফেরার পথে বাজারের পাশের মীর বাড়ির সামনে মীর আক্তার হোসেনের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে আশরাফ উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সাতজন ও প্রতিপক্ষের দুজন আহত হয়েছেন।

তবে মীর আক্তার হোসেন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমে আশরাফ উদ্দিনের সমর্থকেরা তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হয়।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহীদবেদিতে ভাষাশহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে ফেরার পথে মীর আক্তার হোসেনের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন আক্তার হোসেন। পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।