বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে চাঁদার দাবিতে মারধরের শিকার তরুণ

মারধর
প্রতীকী ছবি

যশোরের মনিরামপুরে ঈদের দিন বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে এসে চাঁদার দাবিতে বখাটের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এক তরুণ। এ সময় ওই তরুণের বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জামজামি গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী দুজনকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে পাঁচজনের নামে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন মারধরের শিকার তরুণ। আটক দুজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার ভোজগাতী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মখলেসুর রহমান (৩৮) ও ইমান আলীর ছেলে পারভেজ হোসেন (২৬)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুই ব্যক্তি জানান, গতকাল দুপুরে ওই তরুণ (২৯) তাঁর বান্ধবীকে (১৯) নিয়ে জামজামি গ্রামের মাঠে ঘুরতে আসেন। তাঁরা দুজন রাস্তার পাশে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় তিন সহযোগীকে নিয়ে সেখানে যান মখলেস ও পারভেজ। তাঁরা ঘুরতে আসা তরুণকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করতে থাকেন। এরপর তাঁরা মেয়েটাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার পাশে বাগানে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। তাঁরা ওই তরুণ ও তরুণীর স্মার্টফোন এবং তাঁদের কাছে থাকা প্রায় তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন। তাঁরা তরুণ ও তরুণীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে মখলেস ছুরি বের করে তরুণকে আঘাত করতে যান। তরুণীর চিৎকার শুনে মাঠের লোকজন এগিয়ে আসেন। তাঁদের একজন ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান। পরে মনিরামপুর থানা থেকে পুলিশ এসে মখলেস ও পারভেজকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, মখলেস, পারভেজ ও তাঁদের সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন লোকের কাছে চাঁদা দাবি, চাঁদার দাবিতে তাঁদের মারধর এবং ভিডিও ধারণ করে জিম্মি করে আসছেন। তাঁরা মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত।

ভোজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, মখলেস, পারভেজ ও তাঁদের তিন সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী। তাঁরা এলাকার নানা অপকর্মের হোতা। তাঁরা মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেছেন। তাঁরা এক লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মেয়েটির সঙ্গে থাকা ছেলেটিকেও দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেছেন।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ওই ঘটনায় মারধরের শিকার তরুণ বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেছেন। এর মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ শুক্রবার আদালতে নেওয়া হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।