দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবে প্রথম আলো, প্রত্যাশা পাঠকদের

প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরগুনায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে কথা বলছেন একজন অতিথি। মঙ্গলবার বিকেলে বরগুনা গণগ্রন্থাগারেছবি: প্রথম আলো

যাঁরা নিয়মিত পত্রিকা পড়ে না, তাঁরা সত্য উপলব্ধি করতে পারেন না। প্রথম আলো সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরে। এ জন্য তারা বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছে। প্রথম আলোর কাছে প্রত্যাশা, দেশের অগ্রযাত্রায় পত্রিকাটি ভূমিকা রাখবে। সমাজ পরিবর্তনে তারা মানুষের সমস্যাসহ অসংগতি নিয়ে তাদের কাজ করে যাবে।

প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বরগুনায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অতিথিরা এ কথাগুলো বলেন। বরগুনা সরকারি গণগ্রন্থাগারে আয়োজিত সুধী সমাবেশে রাজনীতিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, নারীনেত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ১২০ জন এতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর বরগুনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক। অনুষ্ঠানে বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হুমায়ূন হাসান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মহিবুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদা বেগম, প্রথম আলোর হেড অব ডিপ নিউজ রাজিব আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বিএনপি নেতা হুমায়ূন হাসান বলেন, ‘প্রথম আলো সবার চেয়ে এগিয়ে। দেশ পরিবর্তন হয়েছে, মানুষ দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। প্রথম আলোর কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো, সেই যাত্রায় প্রথম আলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের ভোটাধিকার আদায়ে প্রথম আলোকে ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’

বরগুনা সরকারি গণগ্রন্থাগারে আয়োজিত সুধী সমাবেশে রাজনীতিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন
ছবি: প্রথম আলো

জামায়াত নেতা মো. মহিবুল্লাহ বলেন, যাঁরা নিয়মিত পত্রিকা পড়েন না, তাঁরা সত্য উপলব্ধি করতে পারেন না। প্রথম আলো সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরে। এ জন্য পত্রিকাটি বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে। পুরস্কার পাওয়ার অন্যতম কারণ, তারা একটি প্রজন্মকে তাদের পত্রিকার পাঠক হিসেবে ধরে রাখতে পেরেছে।

হামিদা বেগম বলেন, প্রথম আলোর কাছে তাঁর আবেদন, নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের কথা লেখেন। প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে নারীদের দুর্ভোগ নিয়ে লেখেন। নারীরা কীভাবে বেসরকারি সংস্থার ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে নির্যাতিত হন, সেটা মানুষকে জানান। তাহলে নির্যাতিত মানুষ উপকৃত হবেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পাঠকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পাঠকেরা প্রথম আলোর কাছে তাঁদের প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এ সময় পাঠকদের প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়া হয়। প্রথম আলোর হেড অব ডিপ নিউজ রাজিব আহমেদ বলেন, ‘পাঠকেরাই প্রথম আলোর শক্তি। প্রথম আলো সব সময় পাঠকের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পাঠকই প্রথম আলোর প্রাণ।’

বরগুনা বন্ধুসভার উপদেষ্টা তারিক বীন আনসারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সদস্যসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, নারীনেতা ও বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।