নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও শামিল হয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী ইউনিয়নে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ সন্ধ্যায়ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরাও এতে শামিল হয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে এবং তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি এ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের রামগতির হাটে এ পথসভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করার জন্য এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এই লিফলেট কেউ দেখেও না, কেউ পড়েও না। এবং বিএনপির নেতা যারা লিফলেট বিতরণ করে, তারা হঠাৎ বিতরণ করে আবার হারিয়ে যায়।’

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আগুন-সন্ত্রাস করে, পেট্রলবোমা মেরে, রেললাইন উপড়ে ফেলে নির্বাচনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল, সেটি তারা করতে পারেনি। এখন বিএনপি চেষ্টা করছে প্রার্থীদের ওপর হামলা পরিচালনা করার। কিন্তু সেটিতেও তারা ব্যর্থ হবে। কারণ, জনগণ তাদের সঙ্গে নাই। এই অপরাজনীতিতে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না।’

নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যেভাবে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে গর্তের মধ্যে ঢুকে গেছে। বিএনপি গর্তের মধ্য থেকে মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে।’

আজ বেতাগী ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া, মির্জাখিল, বালুচর এলাকাতে গণসংযোগের সময় পথসভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইদ্রিছ আজগর, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খান, শামসুল আলম তালুকদার, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আবছার তালুকদার, এম এ হান্নান চৌধুরী প্রমুখ।