কামারখন্দে নদে গোসলে নেমে নিখোঁজ আরও দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ফুলজোড় নদে গোসলে নেমে নিখোঁজ আরও দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাঁটিবেলাই এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই দুজনের নাম কৃষ্ণ নিয়োগী (১৫) ও সারজিল ইসলাম (১৬)।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে কামারখন্দ উপজেলার ফুলজোড় নদে গোসলে নেমে উপজেলার ঝাঁটিবেলাই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে রাফিন ইসলাম (১৫), সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাহিরগোলা ঘোষপাড়া মহল্লার বিশ্বনাথ নিয়োগীর ছেলে কৃষ্ণ নিয়োগী ও উকিলপাড়া মহল্লার ইমরুল হাসানের ছেলে সারজিল ইসলাম নিখোঁজ হয়। তারা সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সন্ধ্যায় নিখোঁজ রাফিন ইসলাম নামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হকের বাড়িতে তাঁর নাতি জারিফ হোসেনের পাঁচ বন্ধু বেড়াতে আসে। ওই দিন বিকেলে ছয়জন বন্ধু মিলে স্থানীয় ফুলজোড় নদে গোসলে নামে। এ সময় তিনজন সাঁতরে তীরে উঠলেও নদীর স্রোতের তোড়ে বাকি তিনজন পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে গ্রামবাসী পরে কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাফিন ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ উদ্ধার করা হলো নিখোঁজ বাকি দুজনের মরদেহ।
কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক অপু কুমার প্রথম আলোকে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। গতকাল একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। রাজশাহী থেকে আসা বিশেষ ডুবুরি দলের টানা দুই ঘণ্টারব্যাপী উদ্ধার অভিযানে ২০ মিনিটের ব্যবধানে নিখোঁজ বাকি দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।