এবার নির্বাচনে রাজনৈতিক ‘ফ্লেভার’ নেই: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
এবার একটি বড় রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ) দলীয় প্রতীক তুলে দিয়েছে। তবে দলীয় কেউ রাজনৈতিক কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেই অপশন (বিকল্প) রাখা হয়েছে। কেউ স্বাধীনভাবেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন; এতে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। তবে এবার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আজ শনিবার দুপুরে হরিরামপুর ও সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগেও যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন; রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন হতো না। মধ্যে আইন করা হয়েছে যে রাজনৈতিকভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা যাতে একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে চলে আসে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটা বলা হয়, একটা শঙ্কা থাকে। তবে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ইনজেকশন বা টিকার মতো। টিকা দেওয়ার আগে অনেকে ভয় পান, কিন্তু টিকা দেওয়ার পর টেরও পান না। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া সহজ। ইভিএম পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে ভোট ছিনতাই ও জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। ইভিএম যন্ত্রে ভোট গ্রহণে ত্রুটি নয়, হয়তো ধীরগতি হতে পারে। তবে বিগত সময়ে এই পদ্ধতিতে প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীর স্বজনেরা এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটির এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, এটা তাদের (আওয়ামী লীগ) দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইনে যেকোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে কিছু শর্ত আছে, তা হচ্ছে তাঁকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হতে হবে, ঋণখেলাপি যেন না হন। কোনো ফৌজদারি মামলা সাজা না হলে এবং নাগরিকত্ব না হারালে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের আইনে নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো আত্মীয় বা অনাত্মীয়ের বিষয় নেই।
মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কেউ যেন অন্যায়ভাবে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দিতে না পারেন বা ভোটারকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধার সম্মুখীন না হন এবং কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়—নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেই এই দুটি তথ্যই আমরা দিয়েছি।’