সাতকানিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৩

সংঘর্ষ
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জায়গাজমির নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারীসহ তিনজনকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন । গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার নেয়ামত আলী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ছররা গুলিতে আহত ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার নেয়ামত আলী পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবুল হাশেম (৬২), তাঁর স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৫০) ও প্রতিবেশী মৃত আবদুস ছাত্তার মাঝির স্ত্রী মিনু আরা বেগম (৭০)। মারধরে আহত তরুণের নাম মোহাম্মদ সিফাত (২১)। তিনি একই এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ, স্থানীয় সূত্র ও আহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আবুল হাশেম ও তাঁর ভাইদের সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গতকাল রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহেলসহ সহযোগীরা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার নেয়ামত আলী পাড়ার টিপুর দোকানের সামনে এসে মোহাম্মদ সিফাত নামের এক তরুণকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন। পরে তাঁরা পাশের আবুল হাশেম ও মৃত আবদুস ছাত্তার মাঝির বাড়ি লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে আবুল হাশেম, তাঁর স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম ও আবদুস ছাত্তার মাঝির স্ত্রী মিনু আরা বেগম ছররা গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন।

ছররা গুলিতে আহত আবুল হাশেমের ছোট ভাই আবদুল গফুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ভাইদের কিছু জায়গাজমি মোহাম্মদ আলী ও তাঁর ছেলেরা তাঁদের বলে দাবি করে আসছিলেন। বিষয়টি দীর্ঘদিনের। এর জের ধরে মোহাম্মদ আলীর ছেলেরা গতকাল রাতে গুলি করে ও হামলা চালিয়ে আমার ভাই, ভাবিসহ চারজনকে আহত করেছেন।’

এ ব্যাপারে জানার জন্য মোহাম্মদ আলী ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ সোহেলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মো. এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে দুই নারীসহ তিনজনকে ছররা গুলিতে বিদ্ধ এবং এক তরুণকে পিটিয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। চারজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ছালেহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি, জায়গাজমি নিয়ে আবুল হাশেমের সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর ছেলেদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।’
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কেন ও কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা তদন্ত করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।