মৎস্য অধিদপ্তরের জমিতে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা

খুলনা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টাঙিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

খুলনা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত ওই কার্যালয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ এবং মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় অধিগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সম্প্রসারণের প্রয়োজন হলেও প্রশাসনের উদাসীনতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে এ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত কালক্ষেপণ না করা। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করে আবাসনসংকট, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম ও গবেষণার সুযোগের অভাব, ক্লাবগুলোর বসার জায়গার সংকটসহ নানা সমস্যার দ্রুত সমাধান করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একই দাবিতে সমাবেশ করেছিলেন এবং দ্রুত জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণের জন্য ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবসংবলিত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ও রয়েছে। শিগগিরই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠবে। অনুমোদন পাওয়ার পর ব্যানার টাঙালে হয়তো হতো, কিন্তু ছাত্ররা আগে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন।

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ফারহানা তাসলিমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘গেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি আমরা জেনেছি। ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনো কোনো চিঠি দেওয়া আছে বলে আমার জানা নেই।’