ঘিওরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রিসোর্ট বন্ধের দাবি
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। জেলার আলেম-ওলামারাও একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুরান গ্রামে অবস্থিত ওই রিসোর্টের কাছে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে স্থানীয় কৃষক আবদুর রাজ্জাক, ইসমাইল হোসেন, সুফিয়া বেগম, মরিয়ম বেগম, জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি মো. নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুল হান্নান, প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলার শোলধারা তজিম উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম, বানিয়াজুরী ফয়েজুল উলম হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান, পুরান গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু ওয়াহেদ, মো. লিটন মোল্লা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কৃষক রাজ্জাক বলেন, তাঁর ৮৫ শতক জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে ওই রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। টাকা চাইলে মামলা ও মারধরের ভয় দেখানো হয়।
বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় ডেরা রিসোর্ট গড়ে ওঠে। শুরুতে গরুর খামার করার নামে কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে জমি দখল ও ক্রয় করা হয়। পরে সেখানে রিসোর্ট স্থাপন করা হয়। রিসোর্টে বিনোদন ও অবকাশযাপনের অন্তরালে চলছে মাদক সেবনসহ অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। বক্তারা অবিলম্বে ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টার বন্ধ করে সেখানে কলকারখানা স্থাপনের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ওমর ফারুক বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে জমি কিনে সেখানে অ্যাগ্রো ফার্ম করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টার করা হয়েছে। কোনো জমি জোর করে নেওয়া হয়নি। বাজারমূল্য দিয়েই জমি কেনা হয়েছে। এরপরও যদি কোনো জমির মালিক প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা পান, তা প্রমাণিত হলে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।
ওমর ফারুক দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি নিয়মকানুন মেনেই পরিচালনা করা হচ্ছে। এ রিসোর্টে কোনো অনৈতিক বা অসামাজিক কার্যকলাপ হয় না।