নড়াইলে পিঠে ছুরিবিদ্ধ তরুণের লাশ উদ্ধার, ভ্যানটি উধাও

ছুরিকাঘাত
প্রতীকী ছবি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা থেকে এক তরুণের ছুরিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মারকাজুল মাদ্রাসার উত্তর পাশের সড়ক থেকে পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তরুণের নাম ফয়সাল মুন্সী (২০)। তিনি লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের আহমদ মুন্সীর ছেলে। তিনি বাবার ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে করে একটি বেকারির মালামাল আনা-নেওয়ার কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলা সদরের কুন্দশী মোড়ের একটি বেকারির মালামাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বাবার ভ্যান নিয়ে বের হন ফয়সাল। বেকারির কাজ শেষ করে সন্ধ্যার দিকে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর রাত আটটার দিকে লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মারকাজুল মাদ্রাসার উত্তর পাশের সড়কে পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় ফয়সালের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা থেকে পুলিশ এসে রাত নয়টার দিকে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এ সময় তাঁর ভ্যানটি সেখানে ছিল না।

লোহাগড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফুল মিয়া বলেন, ফয়সাল আগে অন্য জায়গায় থেকে কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তিন দিন ধরে তিনি তাঁর বাবার ভ্যান নিয়ে একটি বেকারির মালামাল পরিবহন করছিলেন। এ জন্য গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হন তিনি। বেকারির কাজ করে সেখান থেকে চলেও এসেছিলেন। রাতে তাঁকে লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মারকাজুল মাদ্রাসার উত্তর পাশে এনে গলিতে ঢুকিয়ে পিঠে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর টাকা ও ভ্যানটি নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ছুরিকাঘাত করে ফয়সাল মুন্সীকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

কাঞ্চন কুমার রায় আরও বলেন, ঘটনাস্থলে তাঁর ভ্যানটি পাওয়া যায়নি। ভ্যান ছিনতাই করার জন্য কিংবা অন্য কোনো কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।