ভ্যান ছিনতাই ও চালককে হত্যার আড়াই মাস পর তিনজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের বিরামপুরে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনতাই ও চালক বাবুল ইসলামকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় আড়াই মাস পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া দুটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাকশালা বাজার থেকে বেলাল হোসেন (৪১) এবং রংপুরের কাউনিয়া থেকে এরশাদ আলী (৪৬) ও আবদুল কাদেরকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বেলাল হোসেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় ৫০টি মামলা রয়েছে। তিনি এর আগে ১১টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। অপর আসামি এরশাদ আলী রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আরাজী হরগোবিন্দ গ্রামের এবং আবদুল কাদের একই উপজেলার বাহাগিলীপাড়ার বাসিন্দা। নিহত ভ্যানচালক বাবুল ইসলাম বিরামপুর পৌর শহরের কৃষ্টচাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে সকালে বাবুল ইসলাম ভ্যান নিয়ে বের হন। পৌর শহরের কলাবাগান এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় এক ব্যক্তি তিন-চারজন অপরিচিত যাত্রী নিয়ে এসে ধানজুড়ি এলাকায় যাওয়ার কথা বলেন। পরে তাঁরা বাবুলকে পীরদহ নদের পাড়ে নিয়ে গিয়ে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে মারধর করেন এবং শরীরে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে দেন। বাবুলকে মৃত ভেবে তাঁরা ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন ৪ মে সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাবুলের পরিবার তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মে বাবুল ইসলাম মারা যান।

ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মেয়ে ফাইমা খাতুন (২২) বাদী হয়ে গত ১০ মে বিরামপুর থানায় একজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। গতকাল ভোরে বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সদস্য। তাঁদের আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।