প্রশাসনকে বিপুল ঘোষের প্রশ্ন, পদ্মার বালু তোলা বন্ধ হয় না কেন, আপনারাও কি ভাগ পান
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ বলেছেন, ‘ফরিদপুর সদরের ধলার মোড়ে পদ্মা নদী থেকে প্রতি রাতে শত শত ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এভাবে বালু তুললে বন্যার সময় তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। আমি প্রশাসনের সর্বময় কর্তাদের অনুরোধ করেছিলাম, আপনারা এই ভেকু বন্ধ করে দিন। কিন্তু ওনারা বন্ধ করেন নাই। তাহলে কি আপনারা টাকা নেন? যাঁরা এই ভেকু চালান, তাঁরা যে টাকা নেন, আপনারাও কি তার ভাগ পান?’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রশাসনের উদ্দেশে এ প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের ইমাম উদ্দিন আহমাদ চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী।
কারও নাম উল্লেখ না করে বিপুল ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা বাইরের থানার এমপি আছেন, এই থানার যাঁরা লোক না, তাঁরা এখানে আইসেন না। ৩৩ জন লোক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল ফারুককে ফরিদপুরে আসা ঠেকাইছি। সুতরাং বেশি মস্তানবাজি করবেন না।’
ছাত্রলীগের সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াকসহ প্রথম সারির কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিপুল ঘোষ বলেন, ‘ফরিদপুরের সব আওয়ামী লীগ নেতাকে এ সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু আপনারা কেউ আসেননি। আপনারা কি গ্রুপিং করার জন্য রাজনীতি করবেন, দলাদলি করার জন্য রাজনীতি করবেন। আজ কিন্তু মানুষ অনেক সচেতন, ছাত্ররা অনেক সচেতন।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ মুখার্জি, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফিফ বিন ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি আনন্দমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ব্রহ্ম সমাজ সড়ক, মুজিব সড়ক দিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছায়।