মাঠের প্রচার শেষে এবার ফেসবুকে সরব প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকেরা

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুল আলম
ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হয়েছে আজ শুক্রবার সকাল আটটায়। এখন অপেক্ষা ভোটের। চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। এত দিন মাঠেঘাটে বিরামহীন প্রচার শেষে প্রার্থীরা এখন সরব হয়েছেন অনলাইনে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁরা ছবি, পোস্টার, ভিডিও, গ্রাফিকসসহ নানা উপায়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলম ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের ফেসবুকে প্রচার সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম মধু ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী নেওয়াজ মোরশেদও সরব আছেন ফেসবুকে।

মো. রশীদুজ্জামানের ফেসবুক আইডি থেকে নির্বাচনী প্রচার চালানো হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নির্বাচনী সভার বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর গণসংযোগের ছবি, পোস্টারের ছবি, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতিসহ নানা বিষয় স্থান পেয়েছে ফেসবুকে। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মো. রশীদুজ্জামান লিখেছেন, ‘নেত্রী মোদের ডাক দিয়েছে, সব সাথিদের খবর দাও। ষড়যন্ত্রকে কবর দিয়ে নৌকা ভরে ভোট দাও।’

ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলমও তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর প্রচারে বিভিন্ন সময়ের গণসংযোগের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হচ্ছে। প্রিয় কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলাবাসী, আমি আপনাদের সবার আবদার মেটাতে পারিনি, এ জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা আছেন আমার হৃদয়ে। ৭ তারিখ সারা দিন ঈগল মার্কায় ভোট দিন।’

লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ও নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী নেওয়াজ মোরশেদও ফেসবুকে নির্বাচনী গণসংযোগের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরাও আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষে অনলাইনকে প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁরা পছন্দের প্রার্থীর ছবি ও নানা কিছু পোস্ট করে ফেসবুকে সরব আছেন। ফেসবুকে কয়রা ও পাইকগাছা দুটি উপজেলার ভোট নিয়ে পাল্টাপাল্টি পোস্টও দিচ্ছেন কর্মী-সমর্থকেরা।

ফেসবুকে প্রচার সম্পর্কে কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, যুগের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের ধরনেরও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রায় সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাই অনলাইনে নির্বাচনী প্রচারও অনেক বেশি কার্যকর। সে কারণে এর ব্যবহারও বাড়ছে।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল আটটার পর কেউ কোনো নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানোও আচরণবিধি ভঙ্গের আওতায় পড়বে। বিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।