চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২৩ নেতা-কর্মীকে শোকজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ নেতা–কর্মীকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়া এ চিঠিতে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২১ মে নির্বাচনের কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষে জড়ানো এ দুটি উপপক্ষ হল চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়। এ দুটি পক্ষের নেতা–কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচয় দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র দখল নিয়ে বিজয় উপপক্ষের কর্মী সালাউদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির নেতা–কর্মীরা। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিজয় ও সিএফসি নেতা–কর্মীদের মধ্যে ওই দিন সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের আরও নয়জন আহত হন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রের পাশ থেকেই চারটি রামদা উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল বডি।

এ ঘটনায় ২২ মে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্ত কমিটিই ২৩ জনকে শনাক্ত করে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠায়। চিঠি পাওয়া ওই নেতা–কর্মীদের মধ্যে ১৭ জন সিএফসির ও অন্য ৬ জন বিজয়ের নেতা–কর্মী।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১১ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর অন্য ১২ জনকে রামদা হাতে সংঘর্ষে জড়ানোর দায়ে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও ঘটনা–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে এই ২৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। চিঠির জবাব পেলে করণীয় ব্যবস্থা সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।