চাঁদপুরের খুদে ফুটবলার সোহান পাচ্ছে ‘বিকেএসপির স্কলারশিপ’

বাবার কোলে শিশু সোহান। সম্প্রতি মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনী গ্রামেছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের খুদে ফুটবলার সোহান (৬) বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ডাক পেতে যাচ্ছে। সেখানে শিশুটিকে পূর্ণ বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান তিনি।

ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, সোহানকে বিকেএসপিতে রেখে ভবিষ্যৎ ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এদিকে এ খবরে সোহানের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল প্রধানিয়ার একমাত্র ছেলে সোহান প্রধানিয়া। সোহেল এলাকাটিতে সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। আর শিশু সোহান বর্তমানে পাঁচআনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে।

পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গ্রামের রাস্তায় বাবার সঙ্গে ফুটবলের অনুশীলন শুরু করে সোহান। সে অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু কলাকৌশল রপ্ত করে। ফুটবলে তার প্রতিভার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফুটবলপ্রেমীরা শিশুটিকে দেখতে ছুটে যান। কেউ কেউ অবাক হয়ে কিংবা খুশিতে সোহানকে ফুটবল, জার্সি, জুতা উপহার দেন। সম্প্রতি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও সোহানের সঙ্গে দেখা করেন; তাঁর হাতে তুলে দেন ফুটবলের নানা সামগ্রী। সেই সঙ্গে দায়িত্ব নেন শিশুটির লেখাপড়াসহ খেলাধুলা চালিয়ে নেওয়ার।

ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই সোহান অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু কলাকৌশল রপ্ত করে
ছবি: প্রথম আলো

সোহান বিকেএসপিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাবা সোহেল প্রাধানিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করলাম। আমি সোহানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি, আল্লাহ যেন সেই স্বপ্ন পূরণ করেন।’
টিভিতে খেলা দেখে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে সোহান নিজেও। সে বলে, ‘আমি বড় হয়ে মেসির মতো খেলতে চাই।’

বিকেএসপিতে সোহানের ভর্তির ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুমা মনি। তিনি বলেন, ‘খুদে ফুটবলার সোহানের প্রতিভা দেখে আমি নিজেও তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমরাও চাই সোহান লেখাপড়ার পাশাপাশি ভালোমানের ফুটবলার হোক।’