সপ্তম দিনের মতো ধর্মঘট চলছে চা-বাগানে

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান চা–শ্রমিক ধর্মঘটের ৭ম দিন আজ। আজ দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা–বাগানে
ছবি: শিমুল তরফদার

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান চা-বাগানের শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সপ্তম দিন ছিল আজ শুক্রবার। এ ধর্মঘট উপলক্ষে দেশের ১৬৭টি চা–বাগানের শ্রমিকেরা কাজে না গিয়ে নিজ নিজ এলাকায় সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল চালিয়ে যাচ্ছেন। ধর্মঘটের কারণে বাগানে চা-পাতা তোলা বন্ধ থাকায় চা উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।

গত শনিবার থেকে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা। মজুরি বৃদ্ধির জন্য বাগানমালিক কর্তৃপক্ষ, মজুরি বোর্ড, চা–শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় ধর্মঘট অব্যাহত আছে।

আজ সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা–বাগানে গিয়ে দেখা যায়, দুই শতাধিক শ্রমিক বাগানের সড়কে বসে স্লোগান দিচ্ছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে চা–বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি, বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়ন ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে কথা বলতে দেখা যায়।

চা–বাগানের শ্রমিক শকুন্তলা বলেন, ‘মালিকপক্ষ আমাদের ১৪০ টাকা দিতে চায়। আমরা সেটা নেব না। দরকার হলে আমরা না খেয়ে থাকব। যত দিন আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তত দিন আমরা চা–বাগানের কাজে যোগ দেব না।’

বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গতকাল বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের ৭ম ভ্যালিতে সভা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম। আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে অটল আছি। আজ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কিছু চা–বাগানে সমাবেশে শ্রমিকের সংখ্যা কম ছিল। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে।’