কসবায় আইনমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ছাইদুর ও আখাউড়ায় মনির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

চেয়ারম্যান পদে কসবায় বিজয়ী ছাইদুর রহমান (বাঁয়ে) ও আখাউড়ায় বিজয়ী মনির হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় ধাপে আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম রাত সাড়ে ১০টায় ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে দেখা যায়, কসবায় চেয়ারম্যান পদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান কাপ–পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়েছেন।

ছাইদুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতেই তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মনির হোসেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউপির তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়েছেন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো তাঁকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাঁর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে সরব ছিল।

কসবা ও আখাউড়ায় আজ দিনব্যাপী ভোটে জাল ভোট প্রদান, গোপন কক্ষে অন্য ভোটারের ব্যালটে সিল মারা ও ভোটকেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগে ২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কসবায় ২০ জনকে এবং আখাউড়ায় ২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৭ জনকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।