চাঁদপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলার বাড়িগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে।

মারা যাওয়া শ্রমিকেরা হলেন লিটন পাঠান (৪৫) ও রাসেল প্রধান (২৮)। লিটন উপজেলার পুটিয়া এলাকার ওয়ালিউল্লাহ পাঠানের ছেলে। রাসেল প্রধান উপজেলার হুরমহিষা গ্রামের আলী আরশাদের ছেলে। নির্মাণাধীন ভবন ও সেপটিক ট্যাংকটি বাড়িগাঁও এলাকার আবুল বাশারের। সেখানে লিটন ও রাসেল শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। লিটনের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। লিটনের আয়ের ওপরই সংসার চলত।

পুলিশ, পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাড়িগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশার তাঁর নিজের জায়গায় একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রথমেই সেপটিক ট্যাংকের কাজ শুরু করেন। সেখানে রাসেলকে রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং লিটনকে শ্রমিক হিসেবে কাজের দায়িত্ব দেন। এক মাস আগে সেপটিক ট্যাংকটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। শুক্রবার বেলা ১১টায় রাসেল ও লিটন ওই সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সেখানকার বিষাক্ত গ্যাসক্রিয়ায় তাঁরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আশপাশে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ওই দুই শ্রমিকের নিথর দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। বেলা একটায় ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওই দুই শ্রমিকের লাশ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে তাঁর থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।