চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও পাঁচ কর্মকর্তা–কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, এক কর্মকর্তা ও চার কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ছুটির দিন থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়নি। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তবে বরখাস্তের চিঠি এখনো ইস্যু হয়নি।
সাময়িক বহিষ্কৃত হওয়া শিক্ষক হলেন সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সরকার। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায়বিষয়ক কমিটির সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ অসদাচরণের একাধিক অভিযোগ ছিল। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা হলেন গোলাম কিবরিয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া অ্যাকাউন্টিং বিভাগের নিম্নমান সহকারী তানভীর আহমেদ, ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের নিম্নমান সহকারী সায়ন দাশগুপ্ত, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত নথি শাখার নিম্নমান সহকারী পারভেজ হাসান, হিসাব নিয়ামক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত সালে যাঁরা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন, রেজিস্ট্রার অফিস তালা দিয়েছিলেন ও দুর্ব্যবহার করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। ওই তদন্ত কমিটির সুপারিশের পর সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
শিক্ষক সাইদুল ইসলাম সরকার সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে বরখাস্তের আদেশ চূড়ান্ত হবে। আর গোলাম কিবরিয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যে প্রমাণিত। এরপরও শাস্তি কার্যকর করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষক সাইদুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।