কুমিল্লা এখন ভয়ের নগরীতে পরিণত হয়েছে: সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের নূর উর রহমান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার নগরের একটি হোটেলেছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লা এখন ভয়ের শহরে পরিণত হয়েছে। শহরে এখন কথা বলার স্বাধীনতা নেই। ন্যায্য কথা বললে বা গঠনমূলক সমালোচনা করলে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়। নির্বাচিত হলে কুমিল্লাকে ভালোবাসার শহরে পরিণত করা হবে।

বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ ওরফে তানিম এসব কথা বলেন। নগরের টমছমব্রিজ এলাকার একটি হোটেলে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নূর উর রহমান নব্বইয়ের দশকের ছাত্রনেতা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে তিনি ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এবারও মেয়র পদে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

নূর উর রহমান বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে কোনো ধরনের চক্রান্ত কাজে আসবে না। কুমিল্লার মানুষ এবার যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করবেন। শেষ দিন পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব। নির্বাচনে বাধা দিলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। ভোটের দিন আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসুন। ভোট দিন। ভোটের আগে অনেক গুজব ছড়াবে। অত্যাচার করবে। নগরবাসী ভয় পাবেন না। এই নির্বাচন রাজনৈতিক নেতাদের অধিকার আদায়ের নির্বাচন।’

আগামী ৯ মার্চ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মেয়র পদে ভোট গ্রহণ করা হবে। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যান। এ জন্য মেয়রের শূন্য পদে ওই নির্বাচন হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আরও তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক, ২০২২ সালের নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার। এর মধ্যে মনিরুল ও নিজাম বিএনপি ঘরানার। তাঁরা দুজনই বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত। তানিম ও তাহসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।