বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অবরোধে আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর হামলা, ককটেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে করা একটি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ১ নভেম্বর শাজাহানপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে এ মামলাটি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারেক হোসেন ওরফে সুমন।
মামলার আসামি ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম আহসান হাবীব (২৮)। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মাঝিড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন তিনি।
আহসান হাবীবের সাংগঠনিক পরিচয় নিশ্চিত করে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান দাবি করেন, আহসান হাবীব অবরোধের দিন তাঁর সঙ্গেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ভুলবশত আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর হামলার মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। এটা অসাবধানতাবশত হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
তবে মামলার বাদী তারেক হোসেন দাবি করেন, ১ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর হামলা ও ককটেল নিক্ষেপের সময় আহসান হাবীব বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন। ২০১৩-১৫ সালে শাজাহানপুরে বিএনপি-জামায়াতের ধারাবাহিক নাশকতা মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। তিনি দলে অনুপ্রবেশকারী। ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর ওই থানায় ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় অনেককে আসামি করে আওয়ামী লীগের নেতা তারেক হোসেন বিস্ফোরক আইনে শাজাহানপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২২ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাঝিড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীবকে।
মামলার বিষয়ে আহসান হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর হামলায় নাকি বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য রাজপথে ছিলাম, পুলিশের তদন্তেই তা বেরিয়ে আসবে।’
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৩১ অক্টোবর অবরোধে নাশকতার ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী যে কাউকে আসামি করতেই পারেন। তবে তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পেলে অব্যাহতি দেওয়া হবে।