নাটোরে বাম জোটের পথসভায় হামলা, আহত ১৫, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ

হরতাল উপলক্ষে বামজোট আয়োজিত পথসভায় হামলা হয়েছে। সোমাবর সন্ধা ৬টার দিকে নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড়ে
প্রথম আলো

নাটোরে হরতাল কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত বাম জোটের পথসভায় হামলা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাসে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের মারধর, ব্যানার-লিফলেট ছিনিয়ে নেওয়া, প্রচার মাইক ভাঙচুরসহ পথসভা ভন্ডুল করে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম জোটের নেতারা। তবে ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বাম জোট নাটোর জেলা সূত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট বাম জোটের ডাকা দেশব্যাপী হরতাল সফল করার জন্য নাটোরের নেতা-কর্মীরা আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হরিশপুর বাইপাসে পথসভার আয়োজন করেন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সভায় হামলা চালান। তাঁরা পথসভায় যোগ দেওয়া নেতা–কর্মীদের মারধর করেন, ব্যানার-লিফলেট ছিনিয়ে নেন, মাইক ভাঙচুর করেন এবং পথসভা পণ্ড করে দেন।

হামলায় সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক আলফুজ্জামান, বাসদ জেলা সদস্যসচিব মোবারক হোসেন, সিপিবি নেতা আরিফ আহমেদ, বাসদ নেতা কোরবান আলী, ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী মেহেদী হাসান, ছাত্র ফ্রন্ট কর্মী মাহফুজ আহমেদসহ ১৫ জন আহত হন। তাঁরা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাম জোটের জেলা সমন্বয়ক সিপিবি জেলা সভাপতি কমরেড নির্মল চৌধুরী ও বাসদ জেলা আহ্বায়ক দেবাশীষ রায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নির্মল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জ্বালানি তেল, সারসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৫ আগস্ট দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। হরতাল সফল করার জন্য আমরা নাটোরে সংক্ষিপ্ত পথসভার আয়োজন করেছিলাম। শান্তিপূর্ণ এই সভায় ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি দাবি করছি।’ তিনি হরতাল সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত ছিলেন না। বাম জোট মিথ্যা অভিযোগ করেছে।