বরিশাল সিটি করপোরেশনের ছাঁটাই করা কর্মীদের পুনর্বহালের দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও

বরিশাল সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়ন ও হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। আজ রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৬০ পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে তাঁরা নগর ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন।

আজ রোববার বেলা ১১টায় বরিশাল সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়ন ও হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা নগর ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা এ সময় তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দ্রুত দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন করবেন বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।

শ্রমিকেরা দাবি নিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁদের জানানো হয়, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। এরপরই শ্রমিকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দুপুর ১২টায় নগর ভবন ঘেরাও করে দুটি ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা সামনের সড়কে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান। পরে বেলা সোয়া দুইটায় অবরোধ প্রত্যাহার করে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।

এই বিক্ষোভের কারণে নগরের বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজার, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটে।

শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসেন ঢালি বলেন, ১ জানুয়ারি সরকারিভাবে কোনো কারণ বা লিখিত নোটিশ ছাড়াই ১৬০ শ্রমিককে আকস্মিকভাবে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এর ফলে অনেক পরিবার সংকটের মধ্যে পড়েছে। মানবিক কারণে কর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে।

হোসেন ঢালি আরও বলেন, শ্রমিকদের দাবি হলো ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা, সব কর্মীকে শ্রম আইনের অধীনে স্থায়ী করা, পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান করা এবং বেতন–বৈষম্য নিরসন করা।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছি এবং তাঁদের লিখিত আবেদন দেওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু তাঁরা কোনো আবেদন দেননি। আবেদন করলে আমরা তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে বিবেচনার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি। এর বাইরে আপাতত কোনো কিছুই আমাদের করণীয় নেই।’