শরীয়তপুরে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসী যুবককে কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত যুবকের স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম আলাউদ্দিন ব্যাপারী (৩৪)। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। কিছু দিন আগে দেশে আসেন। এই ঘটনায় আটক দুজন হলেন আবদুল্লাহ মৃধা (২৫) ও তাঁর ভাই রিফাত মৃধা (২০)।

নিহত আলাউদ্দিনের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আবদুল্লাহ আমার একটি ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে আমাকে জ্বালাতন করত। ভয় দেখিয়ে বলত, ফেসবুকে ছবি ভাইরাল করে দেবে। সেই ছবি আমার মোবাইলে দিয়েছে সে। ছবিটি আমি ডিলেট করি নাই আমার স্বামীকে দেখানোর জন্য। আমার স্বামী মোবাইলে ছবি দেখতে পেয়ে আবদুল্লাহর দোকানে গিয়েছিল। তারপর এই ঘটনা ঘটেছে। আবদুল্লাহ আমার সন্তানদের এতিম করেছে। আমাকে বিধবা করেছে। আমি তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আলাউদ্দিন ব্যাপারীর স্ত্রী রুমা আক্তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাঁদের বাড়ির সামনের দোকানঘর ভাড়া নিয়ে দরজি দোকান করে আসছিলেন আবদুল্লাহ মৃধা। রুমা আক্তারকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন আবদুল্লাহ। এ নিয়ে এলাকার মুরব্বিরা আবদুল্লাহকে সতর্কও করেছিলেন। সম্প্রতি আলাউদ্দিন ব্যাপারী দেশে আসেন। বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাতে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আলাউদ্দিনের সঙ্গে আবদুল্লাহর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ ক্ষুব্ধ হয়ে কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে আলাউদ্দিনের ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কোপান। আহত অবস্থায় আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেলার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সেখানে তিনি মারা যান।

ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে দোকান মালিককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন—এমন অভিযোগে আবদুল্লাহ মৃধা ও তাঁর ভাই রিফাত মৃধাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। মামলার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির স্ত্রীকে আটক আবদুল্লাহ উত্ত্যক্ত করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।