নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০, ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমর্থক কামাল হোসেন বাদী হয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের সমর্থক দরবেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দরবেশপুর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের ঈগল প্রতীকের সমর্থনে গণসংযোগ করা হচ্ছিল। এ সময় নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের সমর্থনে সেখানে পাল্টা গণসংযোগ শুরু করেন সমর্থকেরা। একপর্যায়ে নৌকার পক্ষে দরবেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিল্লাল হোসেন, আলমগীর হোসেন শেখ, ফিরোজ আলম, আনোয়ার হোসেন, মো. নুরু মোল্লাসহ ১০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘গণসংযোগ চলাকালে নৌকার কর্মীরা হঠাৎ হামলা চালিয়ে আমার সমর্থকদের আহত করেন। গতকাল সকালে পশ্চিম বিঘা এলাকায় গণসংযোগ চালানোর সময় নারী কর্মী শাহনাজ খানমের হাত ভেঙে দেন নৌকার লোকজন। গণসংযোগ শুরু হওয়ার পর থেকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

তবে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। তাঁরা নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান হোসেন বলেন, নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। নারী কর্মীর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে রাকিব হোসেন ও মমিনুল আলম ওরফে ইমনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।