স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহরে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের হামলা, মারধর

পাবনা -১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের গাড়ি বহরে হামলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলার সেলন্দা বাজারে
ছবি: সংগৃহীত

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের গাড়িবহরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধর করে আহত করা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত পাঁচজন কর্মীকে। তাঁদের প্রচারকাজের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলার সেলন্দা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট আবদুল্লাহ-আল-মাহমুদ জানান, বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহর নিয়ে সেলন্দা বাজার অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তাঁদের গাড়িবহরে নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন হামলা চালান। তাঁরা একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন ও গাড়ি থেকে নামিয়ে কর্মীদের মারপিট করেন। এতে পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন আবদুল্লাহ-আল-মাহমুদ।

পাবনায় আহত পাঁচজন হলেন আশিক ইসলাম (৩৫), রুম্মান ( ২৫), আসাদুজ্জামান (৩০) মিম (৩০), বিল্লাল হোসেন (৩৫)। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হকের ভাই আবদুল বাতেন অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরুর দিন থেকেই নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা বাধা দিচ্ছেন। সশস্ত্র অবস্থায় তাঁরা হামলা করছেন। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আশা করছি প্রশাসন এসব বিষয়ে নজর দেবে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে অবহিত না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচারণা চালাতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ প্রসঙ্গে জানতে পাবনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী শামসুল হকের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তবে এই প্রার্থীর সমর্থক সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ অনেক প্রকারই আসে, সব সত্য না-ও হতে পারে। আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায়নি।’