সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জাবির শিক্ষার্থীর অবস্থার উন্নতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের অবস্থার উন্নতি হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের আহত শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জাহিদ হাসানকে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জাহিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। জাহিদ হাসান ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের (৫১তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, আহত জাহিদকে নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে সেটি খুবই কম পরিমাণে। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল শুক্রবার তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন গেরুয়া এলাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন জাহিদ হাসানের তিন–চারজন বন্ধু। বিপরীত দিকের বটতলা এলাকা থেকে যাচ্ছিলেন জাহিদ হাসান। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী হলসংলগ্ন এলাকার সড়কে পৌঁছালে বন্ধুদের দেখতে পেয়ে জাহিদ সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়েন জাহিদ হাসান।

আহত জাহিদকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান কয়েকজন শিক্ষার্থী। কিন্তু পরে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি রাকিব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন,‘ ক্যাম্পাসের সড়ক আমাদের কারও জন্য নিরাপদ নয়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া একজন শিক্ষার্থী ক্লাস শুরুর পরপরই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়বে—এটি প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলা বিধির আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে ডিসিপ্লিনারি বডির মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।